
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইনে কোনও ভেজাল বা দূষণ ছিল না। বৃহস্পতিবার স্যালাইন-কাণ্ডের রিপোর্ট পেশ করে কলকাতা হাইকোর্টে এই কথা জানাল রাজ্য। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, স্যালাইনের গুণমানের দায় এড়াতে পারে না রাজ্য। ১০ দিন পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
জানুয়ারি মাসের শুরুতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পর পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার মধ্যে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। পরে এক সদ্যজাতেরও মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন দেওয়ার পরেই অসুস্থতা এবং তার জেরে মৃত্যু হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর ড্রাগ কন্ট্রোলার একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন হাসপাতালে ওই স্যালাইন ব্যবহার হচ্ছিল, এনিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এই ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। হাসপাতালের সুপার এবং এক জুনিয়র ডাক্তারকেও পরে সাসপেন্ড করা হয়। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য।
মোট দুভাগে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী (এজি) কিশোর দত্ত জানান, রিপোর্টের দ্বিতীয় অংশ আদালতের কাছেই রাখা হোক। ফলে ওই অংশ এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। রিপোর্টের প্রথম অংশ আদালত এবং মামলাকারীরা পড়বে। এজি জানিয়েছেন, রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর হাসপাতালের স্যালাইনে কোনও ভেজাল বা দূষণ ছিল না।
এদিন আদালতে বিচারপতি ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশ্ন করলে, এজি জানান, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘সংবাদপত্রে পড়লাম, সব স্যালাইন তুলে নেওয়া হয়েছে। তা হলে ওই সব স্যালাইন আপনারা সরবরাহ করেছিলেন সেটা কি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না? স্যালাইনের গুণমান নিয়ে রাজ্যের তো দায় রয়েছে”। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ দিন পর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন