

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে ফের একবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। কেন দ্রুত তদন্ত হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
দীর্ঘদিন ধরে চলছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত। তদন্তে নেমে একাধিক জনকে গ্রেপ্তারও করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআই-র বিশেষ আদালতে তোলা হয় সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ মোট আটজনকে। আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন বিচারপতি বলেন, চার্জশিটে আরও অনেকের নাম রয়েছে কিন্তু তাঁদেরকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তের গতি নিয়ে সংশয় থাকছে বার বার। গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে এই মামলার দিকে।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের কাজ নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি না বা আপনাদের যোগ্যতা নিয়েও আমি কিছু বলছি না। তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মামলা। সেক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে নিজেদের হেফাজতেও চাইতেই বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই।
অন্যদিকে, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক এদিন পুকুরে ফোন ফেলে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আদালতে তিনি জানান, আমি একজন বিধায়ক। আমাকে বদনাম করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কোনো ফোন পুকুরে ফেলিনি। বিধায়কের আইনজীবী বলেন, সিবিআই তদন্তের শুরুতেই ফোন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এটা সবাই জানে। তাহলে বিধায়ক নিজের ফোন কীভাবে ফেলবে পুকুরে? সেই ভিডিও ফুটেজ কি আছে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে?
প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করে বিধায়কের এই দুই ফোন থেকে অনেক নথি উদ্ধার হয়েছে। প্রায় ১০০টি ভয়েস মেসেজ রয়েছে যা দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলেই অনুমান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের। সেই তদন্তও দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন