

কয়লা পাচারকাণ্ডে আরও চাপে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ - তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সাহায্য করতে হবে। তদন্তে সহযোহগিতা করতে দিল্লিতে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায় মন্ত্রীর? এই প্রশ্নও করে দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগে ন'বার কয়লা পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাজিরা এড়িয়েছেন। বেশিরভাগ সময়ই নিজের দায়িত্বের কথা জানিয়ে দিল্লিতে যাননি মলয় ঘটক। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইডি মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাবে। এই সমন পাঠাতে হবে হাজিরার ১৫ দিন আগে। মলয় ঘটকে সেই সমন অনুযায়ী দিল্লিতে এসে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, একাধিকবার মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত বার বার হাজিরা এড়িয়েছেন। অন্যান্যরা হাজিরা দিলে মন্ত্রীর হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায়? পাল্টা মলয় ঘটকের আইনজীবী বলেন, রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ফলে তিনি যে খুবই ব্যস্ত এটা কেন্দ্রীয় সংস্থার বোঝা উচিত। কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করাই যায়। কিন্তু দিল্লিতে কেন হাজিরা দিতে হবে। সময়ের অভাবেই হাজিরা দেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘটকের ৭টি বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। টানা আট ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল মন্ত্রীকে। সেই সময়ও আইনমন্ত্রীকে ইডি হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি।
ইডি সূত্রে খবর, আসানসোল, পুরুলিয়া, রানিগঞ্জ-র কয়লা মাফিয়া লালার একাধিক অফিস থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। তাতে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নথিতেই রাজ্যের মন্ত্রীর নাম রয়েছে বলেই জানা যায়। সেই সূত্রেই তলব করা হচ্ছে মলয় ঘটককে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন