Recruitment Scam: রক্ষাকবচ নয় - তদন্তে সহযোগিতা করলে গ্রেফতারির আশঙ্কা কেন? - প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম রক্ষাকবচ পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও লাভ হলো না। ফলে সিবিআই চাইলেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তাঁদের।
বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মামলাকারীদের বক্তব্য, 'তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল ২০২২ সালে। কিন্তু হাইকোর্ট ২০১৪-২০১৭ সালের ঘটনার জন্য সিবিআইকে জেরার অনুমতি দিয়েছে। এর আগে সিবিআই জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা'।
বিচারপতিরা জানান, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে এখনই রক্ষাকবচ পাবেন না। তদন্তে সহযোগিতা করলে গ্রেফতারির আশঙ্কার প্রশ্নই থাকে না। ফলে রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই। আদালত মনে করলে রক্ষাকবচ দেবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা ৫ ঘন্টা সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকার। বিচারপতি গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, সিবিআই রিপোর্টে প্রাথমিকের দুর্নীতি জলের মতো স্পষ্ট। ওএমআর শিটগুলি ডিজিটাইজড করা হয়নি। স্ক্যানিং-র নামে নামে শুধু প্রিন্টিং করা হয়েছে। সেই সময় পর্ষদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। কেন ছিলেন না তার জবাব পর্ষদকে দিতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, পর্ষদ সভাপতি যদি তদন্তে সহযোগিতা না করেন তাহলে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এই রায়ের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে যান পর্ষদ সভাপতি ও পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি। এখন দেখার আগামী শুক্রবার শীর্ষ আদালত কী নির্দেশ দেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।