
পার্থর দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরকেও শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিল আদালত। রমেশ মালিক নামের একজন মামলা করেন পার্থর বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই এমন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ১০ দিনের ইডি হেফাজত হয়েছে পার্থর। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। এবার তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। রমেশ মালিক অভিযোগ করেন, পার্থর দেহরক্ষী নিজের পরিবারের ১০ জন সদস্যকে চাকরি দিয়েছেন। তিনি এও বলেন সম্পূর্ণটাই হয়েছে প্রভাব খাটিয়ে। ঐ ১০ জন প্রাথমিকের ভিন্ন ভিন্ন পদে চাকরি পেয়েছেন।
আদালতে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর প্রশ্ন, এক পরিবারের এত জন সদস্য চাকরি পেল কীভাবে? সূত্রের খবর, নিজের স্ত্রী, ভাই, বোন, মেসো, জামাই, শ্যালক, শ্যালিকা সকলেরই চাকরি করিয়েছেন বিশ্বম্ভর। এনাদের মধ্যে কেউ পেয়েছেন প্রাথমিকে গ্রুপ ডি পদে চাকরি। আবার কেউ পেয়েছেন উচ্চ-প্রাথমিকে গ্রুপ ডি পদে চাকরি।
উল্লেখ্য, সোমবার সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে ১৭ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগের খবর জানতে পেরেছি। সেই শূন্যপদের বিষয় স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জানাতে হবে। তিনি আদালতে আবেদনও জানান প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে ইডিকে যুক্ত করার। সেই নির্দেশ দিতে গিয়েই পার্থর দেহরক্ষীকেও দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন