২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন ১৭ হাজার চাকরি তৈরি আছে। এবার তার রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, সমস্ত শূন্যপদের কথা জানাতে হবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে।
বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে বহুল চর্চার বিষয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলতে শোনা গেছে ১৭ হাজার চাকরির কথা। তিনি বলেছিলেন বিরোধীদের দায়ের করা মামলার জন্য নতুন করে নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে ১৭ হাজার নতুন শিক্ষক নিয়োগের খবর জানতে পেরেছি। সেই শূন্যপদের বিষয় স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জানাতে হবে। তিনি আদালতে আবেদনও জানান প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে ইডিকে যুক্ত করার।
এদিন হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়, শিক্ষক নিয়োগের সাথে পার্থর দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। শূন্যপদের সবরকম তথ্য আদালতে পেশ করতে হবে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মাদ্রাসায় কোথায় কত শূন্যপদ আছে তা সব জানতে চায় আদালত। পাশাপাশি আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার কোনও রকম চিঠি দেয়নি। এটা পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে। সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, রমেশ মালিক নামের একজন মামলা করেন পার্থর বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি পার্থর দেহরক্ষী পরিবারের ১০ জনকে চাকরি দিয়েছে প্রভাব খাটিয়ে। সেই বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।