এসএসসি, প্রাথমিক, মাদ্রাসার পর এবার দমকল নিয়োগেও উঠে এল দুর্নীতির অভিযোগ। দমকল ফায়ার অপারেটর পদে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
দমকলের প্রায় ১৫০০ শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। ২০১৮ সালে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। অভিযোগ উঠেছে, সংরক্ষণ সংক্রান্ত শংসাপত্রকে মান্যতা না দিয়েই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। স্যাটে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে একাধিক চাকরিপ্রার্থী। চাকরিপ্রার্থীদের মামলার পরই আদালতের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
মূলত কী নিয়ে অভিযোগ? নিয়ম না মেনেই দমকলের ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগ করা হয়েছে। যার ফলে আগামী ১২ জুলাই, মঙ্গলবার পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে আদালতের নির্দেশে। যার জেরে কার্যত অনিশ্চয়তায় রইল দমকলের ১৫০০ শূন্যপদ।
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, সংরক্ষণ এবং খেলোয়াড় কোটায় বিশেষ সংরক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিশেষ শংসাপত্রকে মান্যতা দেওয়াই হয়নি। এমনকী, সাধারণ চাকরিপ্রার্থীকে তফসিলি কোটায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে তারা স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, সাধারণ ক্যাটাগরিতে ফায়ারম্যান নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। প্রধান অভিযোগ ছিল, লিখিত পরীক্ষায় সমান নম্বর পাওয়াদের ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারে অনিয়ম হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত পরীক্ষার পর, মোট ৫,৩৭৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করা হয়। ফলাফল ঘোষণার পর, কিছু প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ করে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের (SAT) কাছে যান।
স্যাট অভিযোগ খারিজ করায় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলো চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি হরিশ টণ্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে।
রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস জানিয়েছেন, যখন নিয়োগ করা হয়েছিল, তখন তিনি এই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন না।
এসএসসি, প্রাথমিক, মাদ্রাসা কেলেঙ্কারির পর এবার দমকলে কর্মী নিয়োগের দুর্নীতিতে কার্যত রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একের পর এক দুর্নীতি মামলায় বারবার নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এবং কর্মীদের। আগামী সোমবার, ১১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।