স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ১১ দিন অতিক্রান্ত

বিক্ষোভের ১১ দিন অতিক্রান্ত। তাও মেলেনি সুফল। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষায় পাশ করেও সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ হচ্ছে না। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বেআইনি ভাবে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।
বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা
বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরাছবি - সোশ্যাল মিডিয়া
Published on

স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি প্রকাশ্য এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে সল্টলেকে ইন্দিরা ভবনের কাছে ধর্নায় বসেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা।

আজ শনিবার, বিক্ষোভের ১১ দিন অতিক্রান্ত। তাও মেলেনি সুফল। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষায় পাশ করেও সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ হচ্ছে না। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বেআইনি ভাবে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।

ধর্না মঞ্চ থেকে যে যে দাবিগুলো তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা সেগুলো হল -

১) অবিলম্বে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে পরীক্ষায় পাশ করা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে।

২) একই রাজ্যে দুটি কমিশনের জন্য আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি কেন?

৩) ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ছিল ৩১৮৩ সিটে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। অথচ ২০১৮ সালে নিয়োগ হয়েছে ১৯০০ সিটে। মাদ্রাসায় নিয়োগ হয়েছিল ১৫০০।

এইরকম মোট ১২টি দাবি নিয়ে ধর্নায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে শনিবার উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সজল ঘোষ। ধর্না মঞ্চে বসে আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া শুনেছেন তাঁরা।

এর আগে মাদ্রাসা চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশ ভবনে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গেট থেকে ১০০ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি সম্পা সরকার। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচীর জন্য আদালতের তরফে ২ সপ্তাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গত ২২ জুন অর্থাৎ বুধবার থেকে "মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চ" অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছে।

বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা
SSC: অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র পর আসরে নামছে ইডি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in