

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এবার আসরে নামছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় ইডি দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় একেই জর্জরিত রাজ্য সরকার। বারবার সিবিআই তদন্তের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের। সেই তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে বিস্ফোরক সব তথ্য। পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য ইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সিবিআই-র কাছে থেকে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চাওয়া হয়েছে। এমনকি এসএসসি মামলায় দায়ের হওয়া চারটি এফআইআরের কপিও চাওয়া হয়।
ইডির আধিকারিকদের মতে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে বিপুল পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতির আশঙ্কা প্রবল। এর সাথে যুক্ত থাকতে পারেন বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তদন্তের জন্য আদালতে পেশ করা বিভিন্ন রিপোর্টও চাইতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
এই মামলাতেই বারবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। আদালতের নির্দেশে পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিও বাতিল হয়ে যায়। তাঁকে চাকরি জীবনের সমস্ত বেতন আদালতের কাছে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই মামলার গভীরতা এতটাই বেশী যে নজিরবিহীন নির্দেশ দিতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টকে। বেশকিছুদিন আগে মধ্যরাতে আদালত নির্দেশ দেয় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব। সেই রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসএসসি ভবন ঘিরে ফেলে। দপ্তরের যাবতীয় নথির সুরক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন