হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি। তাও কোনওভাবেই হদিশ মিলছে না প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। এই অবস্থায় ঠিক কী করণীয়! তা জানতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের দ্বারস্থ হলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা।
ইডি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের কাছে এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ চেয়েছেন। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কী লুক আউট নোটিস জারি করা যেতে পারে?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিগত কয়েকদিন যাবৎ নদীয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিকের খোঁজ করছে ইডি। কিন্তু কিছুতেই হদিশ মিলছে না তাঁর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার তলব করা হলেও ইডি দফতরে হাজিরা এড়িয়ে গেছেন মানিক। গত ১০ আগস্ট মানিককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেইসময় মানিকের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। এরপরই তাঁর খোঁজ শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি আধিকারিকদের মতে, মানিকের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের পরামর্শ নিতে আদালতে গিয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। জানা গেছে, মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথিপত্র পাওয়া গেছে। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তাঁকে তলব করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ জুলাই মানিকের বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁর ঠিক ৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৭ জুলাই ফের তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জেরা। এরপর আরও দু'বার মানিককে ইডি ডেকে পাঠালে কোনও উত্তর মেলেনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এই মামলায় মানিক-সহ তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের সম্পত্তির তথ্যও আদালতে জমা দিতে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।