
প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ৭ মে থেকে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা উঠলে শুনানির দিন ঘোষণা করেন এই মামলার নতুন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। সেদিন শুনানির শুরুতে প্রথম সওয়াল করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এর আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। ফলে মামলাটি চলে যায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এরপর সেই মামলা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম পাঠান বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে।
সোমবার নতুন বিচারপতির বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। বিচারপতি মামলার নতুন দিন ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ওইদিন প্রথম সওয়াল করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই দিন সব পক্ষকে কাগজপত্র (পেপার বুক) আদালতে জমা দিতে হবে। একাধিক আইনজীবীদের বক্তব্য একসঙ্গে শোনার সময় নেই আদালতের। বিচারপতি জানান, যে আইনজীবীদের বক্তব্য একই, সেক্ষেত্রে কোনও এক জনের নেতৃত্বে আদালতে নিজেদের বক্তব্য একসঙ্গে পেশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালে এঁদের নিয়োগ হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে নম্বর বিভাজনের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেল বাতিল করে ‘ঢাকিসমেত বিসর্জন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন