কুন্তলের সাথে বিপুল টাকার লেনদেন! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির নজরে সোমা চক্রবর্তী, কে তিনি?

২০২০ সাল থেকে একাধিক দফায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছিল। কিন্তু কী কারণে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল? তা জানতে শুক্রবারই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কুন্তল ঘোষ ও সোমা চক্রবর্তী
কুন্তল ঘোষ ও সোমা চক্রবর্তীছবি - সংগৃহীত
Published on

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে এল আরও এক মহিলার নাম। তিনি হলেন সোমা চক্রবর্তী। ইডির দাবি, ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে সোমা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে। যদিও এই নামের কোনও মহিলাকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন কুন্তল।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি যত এগোচ্ছে তত একের পর এক নাম সামনে আসছে। এর আগে উঠে এসেছিল হৈমন্তী গাঙ্গুলি নামের এক মহিলার নাম। এবার তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে সোমা চক্রবর্তীর নাম, যিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে।

২০২০ সাল থেকে একাধিক দফায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছিল। কিন্তু কী কারণে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল? তা জানতে শুক্রবারই সিজিও কমপ্লেক্সে সোমা চক্রবর্তীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজকে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। তবে ইডিকে তিনি কী জানিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।

অন্যজায়নি।আজ ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল কুন্তল ঘোষের। শুক্রবার নগর দায়রা আদালত ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে তাঁর। ইডির আইনজীবী কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে দাবি করেন, তদন্তে জানা যাচ্ছে প্রায় ২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছে থেকে ১৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন ধৃত যুব তৃণমূল নেতা। প্রায় ৮ লক্ষ করে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর কাছে থেকে নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধায়ের কাছে।

ইডির আইনজীবী আরও দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের নাম করে ডিএলএড ও বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্য টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। প্রাথমিক থেকে শুরু করে নবম-দশম পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা। প্রায় ১০ জন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এইসব তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডির।

কুন্তল ঘোষ ও সোমা চক্রবর্তী
Lay Off: বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাই করার পথে আমেরিকান সংস্থা সিটিগ্রুপ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in