
এবার চাকরি হারাতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৮০৩ জন 'অযোগ্য' শিক্ষক। ২০১৬ সালের নিয়োগে হওয়া 'দুর্নীতির' কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে একথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)।
কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, 'নির্দিষ্ট আইন মেনে পর্যায়ক্রমে ২০১৬-এর নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে 'অযোগ্য' ৮০০-এরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহেই জারি হবে এই সংক্রান্ত নোটিস।
তিনি বলেন, '৯৫২ জনের যে তালিকা আমাদের ওয়েবসাইটে আছে, সার্ভারে এবং ওএমআর শিটে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলে এদের মধ্যে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, কমিশনের বিধি অনুযায়ী তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে।'
জানা যাচ্ছে, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায় (পেজ নাম্বার -৬)।
কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, '৮ তারিখ হলফনামা দিয়ে আমরা আদালতকে জানিয়েছি, এই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে পারব। ৮০০ -র বেশি সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে একটা নোটিস দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই কাজ শুরু করা হবে।'
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের তালিকায় মোট ৯৫২ জনের নাম ছিল। কিন্তু, সেই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের প্রাপ্ত নম্বরে 'গলদ' ধরা পরে। জানা যায়, সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, 'এঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন?'
বৃহস্পতিবার, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। আর, কমিশনের নিয়োগে যে 'দুর্নীতি' হয়েছে, তা-ও কার্যত মেনে নিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে এদিন গ্রুপ ডি-তে বেআইনিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ২৮২০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামীকালের মধ্যেই কমিশনকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন