হাইকোর্টে আবারও ধাক্কা রাজ্য সরকারের। ২০১৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে মেধা তালিকা তৈরি হয়েছে, তা প্রকাশ করতে হবে।
শুধু তাই নয় – পরীক্ষায় প্রার্থীরা কত নম্বর পেয়েছেন, ইন্টারভিউতে কত নম্বর পেয়েছেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতায় কত নম্বর পেয়েছেন – সবিস্তারে জানাতে হবে। বিচারপতি গাঙ্গুলি ১৭ জুন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছেন ২০ মে-র মধ্যে সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোমা সিনহা ও শিউলি খাতুন নামে দুই চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা আদালতে আলাদা আলাদাভাবে মামলা করেছিলেন। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল প্রকাশ করা হলেও নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগের ক্ষেত্রেও টাকার লেনদেন হয়েছে , এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।
সম্পূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ অনেক আগেই দিয়েছিল হাইকোর্ট। এস এস সি কার্যত নির্দেশ অমান্য করে কাউন্সেলিং শুরু করে। বিচারপতি গাঙ্গুলি নিয়োগে অনিয়ম দেখে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সহ পাঁচ সদস্যের কমিটি।
সিবিআই-এর আইনজীবী প্রাথমিকভাবে আদালতকে জানায় – কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা এস পি সিনহার বয়ান অসংলগ্ন। যদিও পরে ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আবার নতুন করে মামলা দায়ের হওয়ায়, হাইকোর্ট আবার ২০১৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।