আবারও ডিভিশন বেঞ্চে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রথমে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি হয়।
এরপর, গত বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, ২৫ নয়, দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকশো কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৫৪২ জনের নাম-ঠিকানা-নিয়োগপত্র আদালতে জমা দিয়েছিলেন মামলকারীরা। তার ভিত্তিতেই ৫৪২ জনেরও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তবে এই ৫৪২ জন এখনও কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে কমিশনকে। এর আগে আরও ২৫ জনের বেতন বন্ধেরনির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর জাল নথি তৈরি করে ৫৪২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এসএসসি-র বক্তব্য, বিচারপতি হলফনামা দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তারা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করছে। জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শুনানির আর্জি করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি বেতন বন্ধের নির্দেশ নিয়েও আগামী সোমবার শুনানি হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।