

গ্রপ ডি মামলায় আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর জাল নথি তৈরি করে এই ৫৪২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এঁদের নিয়োগের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে আরও ২৫ জনের বেতন নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
২০১৯ সালের ৪মে এসএসসি-র গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়। জাল নথি তৈরি করে এরপরও বহু কর্মী নিয়োগ করা হয়। এই অভিযোগ তুলে এসএসসি-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিছু চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের নাম প্রকাশ্যে আসে। গত সপ্তাহেই তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, ২৫ নয়, দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৫৪২ জনের নাম-ঠিকানা-নিয়োগপত্র আদালতে জমা দিয়েছিলেন মামলকারীরা। তার ভিত্তিতে এবার এই ৫৪২ জনেরও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এই ৫৪২ জন এখনও কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে কমিশনকে।
প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত শুক্রবার এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গতকাল সিবিআই তদন্তের ওপর তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন