কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের প্রতিবাদ - কসবা থানায় SFI-DYFI-এর বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

People's Reporter: প্রথমে কলেজের গেটে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র, যুব, মহিলা কর্মীরা। এরপরে গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে মমতা এবং অভিষেকের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা।
কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ
কসবা থানার সামনে বিক্ষোভছবি - নিজস্ব
Published on

দক্ষিণ কলকাতার ল'কলেজের গণধর্ষণের প্রতিবাদে কসবা থানায় ধুন্ধুমার। ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে বাম ছাত্র-যুব কর্মীদের। বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের জেরে পুলিশ আটক করেছে কয়েকজনকে।

শুক্রবার সকালেই সামনে আসে কসবার ল'কলেজের ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের ভিতরে গণধর্ষণের ঘটনা। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৩ তিনজনকে। যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তনী। পরে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আসায় জানা যায় অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিক্ষোভের ডাক দেয় বাম ছাত্র যুব সংগঠন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা।

এদিন প্রথমে কলেজের গেটে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র, যুব, মহিলা কর্মীরা। এরপরে গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে মমতা এবং অভিষেকের ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। বিজন সেতু থেকে মিছিল আন্দোলনকারীরা কসবা থানা পর্যন্ত আসেন। সেখানে মিছিল পৌঁছাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীদের ওপর বিক্ষোভ চলাকালীন লাঠি চালায় পুলিশ। একাধিক ছাত্র, যুব, মহিলা কর্মীরা আহত হয়েছেন। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করে রাখা হয়েছে কসবা থানায়। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। অন্যদিকে, এই বিক্ষোভে উপস্থিত হন অভয়া মঞ্চের সদস্যরাও। তারাও বাম ছাত্র যুব কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন।

বুধবার ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এরপর কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় শিশু উদ্যানের সামনে থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ওই কলেজের প্রাক্তনী। অভিযুক্তদের ‘জে’, ‘এম’ এবং ‘পি’ নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত 'এম' হলেন মনোজিৎ মিশ্র। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে লেখা রয়েছে। সেখানে নিজেকে তিনি দক্ষিণ কলকাতা জেলা টিএমসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ কলকাতা ল কলেজের তৃণমূলের ইউনিটের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। পেশাগত দিক থেকে তিনি নিজেকে আলিপুর আদালতের 'ক্রিমিনাল লইয়ার' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ
Kasba: কলকাতায় ল'কলেজের ভিতরে গণধর্ষণের অভিযোগ! গ্রেফতার ১ প্রাক্তনী-সহ ২ পড়ুয়া
কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ
Sukanta Majumdar: যৌনকর্মীদের নিয়ে কুকথা! FIR দায়েরের পরেও নিজের মন্তব্যে অনড় সুকান্ত মজুমদার

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in