
এবার খাস কলকাতায় গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার কসবার একটি ল'কলেজে। ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। ধৃত মূল অভিযুক্ত কলেজেরই প্রাক্তন এবং বাকি দুজন কলেজরই পড়ুয়া। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার অর্থাৎ ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। এরপর কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর শিশু রায় উদ্যানের সামনে থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ওই কলেজের প্রাক্তনী। যদিও পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অভিযুক্তদের ‘জে’, ‘এম’ এবং ‘পি’ নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ওই তিন অভিযুক্তের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শুক্রবার আদালতে হাজির করিয়ে তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন প্রাক্তন ছাত্র রাতে কলেজে গিয়েছিলেন? কোথায় ছিলেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা? ক্যাম্পাসের ভিতরে রাতে কীভাবে প্রাক্তনী ঢুকতে পারেন? কলেজ কি এই গণধর্ষণের কথা জানে না? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও জানা গেছে, প্রায়শই কলেজে আসতেন মূল অভিযুক্ত। এমনকি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল ওই প্রাক্তনীর। অন্যদিকে, শুক্রবারই নমুনা সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন