কথিত আছে, অকালবোধনের সময় মহিষাসুরমর্দিনীকে গড়তে হবে পতিতাপল্লীর মাটি দিয়ে। সম্পূর্ণ না হলেও আংশিকভাবে এই মাটি লেপতেই হবে দেবীমূর্তির কাঠামোয়।কিন্তু এবার আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার দুর্গামূর্তি গড়তে মাটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সোনাগাছির যৌনকর্মীরা।
এবিষয়ে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’র সেক্রেটারি বিশাখা লস্কর বলছেন, ‘‘বছরের চার দিন নয়, ৩৬৫ দিনই আমরা সামাজিক স্বীকৃতি চাই। আর জি করের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তো বটেই, রাজ্যে ও দেশে সমস্ত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মাটি না দেওয়াই আমাদের হাতিয়ার। নারী নিগ্রহের কত ঘটনাই তো ঘটে। ক’জন সুবিচার পান? এই সব ঘটনা থামানোর সময় এসেছে। তাই আমরা দুর্গাপুজোর জন্য যৌনপল্লি থেকে মাটি দেব না, যত ক্ষণ না সেই সব ঘটনার সুবিচার হচ্ছে।’’
বিশাখা জানিয়েছেন, এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের রাতে অর্থাৎ গত ১৪ আগষ্ট কলেজ স্ট্রিটের জমায়েতে হাজির ছিলেন তাঁরাও। মশাল, মোমবাতি হাতে নিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান তুলেছিলেন তাঁরাও।
তবে গত কয়েক বছর ধরেই দুর্গাপুজোয় মাটি না দেওয়ার কথা জানিয়ে আসছেন যৌনকর্মীরা। তাঁদের দাবি, যৌন পেশাকে শ্রম তালিকায় আনতে হবে। আদালত থেকে এই পেশাকে আইনি স্বীকৃতি দিলেও সমাজের কাছে তাঁরা এখনও প্রান্তিক। সেকারণে ২০১৮ সালেও ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দুই যুবককে হাতে করে মাটি দিতে অস্বীকার করেন তাঁরা। আর জি কর কাণ্ডের পর এবার যুক্ত হল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন