

দু’মাস পরেই বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। তার আগে বর্তমানে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। সেই জনবিক্ষোভের প্রভাব যাতে বাংলার দুর্গাপুজোতে না পরে, সেই অনুরোধ জানিয়েছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’।
কমিটির পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে চলমান জনবিক্ষোভের প্রভাব বাংলার দুর্গাপুজোতে পড়বে। সেই আশঙ্কা থেকে সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ‘ফোরাম ফোর দুর্গোৎসব’।
কমিটির তরফে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আরজি কর হাসাপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীর শোকাহত এবং বিপর্যস্ত। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব অবিলম্বে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে। সকলের কাছে অনুরোধ, দুর্গাপুজোকে তার নিজস্ব ধারায় বইতে দিন। এই নিন্দনীয় ঘটনার সঙ্গে বাঙালির আবেগের দুর্গোৎসবকে জড়িয়ে দেবেন না।“
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আর জি করের সেমিনার হল থেকে ট্রেনি চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু পুলিশ প্রথমে তা খারিজ করে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। পেটে, আঙুলে, ঠোঁটে, যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। গলার হাড়ও ভেঙেছে। যৌন নির্যাতনের পর কোনও কিছু দিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ওই চিকিৎসককে, এটা কার্যত স্পষ্ট। এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন