R G Kar Case: শেষ আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া, ১৮ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা

People's Reporter: গত বছর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। মোট ৫২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। দু’মাস ধরে চলেছে বিচারপ্রক্রিয়া।
আর জি কর কাণ্ডের ধৃত
আর জি কর কাণ্ডের ধৃতছবি - সংগৃহীত
Published on

আর জি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাঁচ মাসের মাথায় শেষ হল বিচারপ্রক্রিয়া। আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ২ টো নাগাদ এই মামলার সাজা ঘোষণা হবে বলে জানাল শিয়ালদা আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা, তাঁদের আইনজীবী, রাজ্যের আইনজীবী এবং ধৃতের আইনজীবী। এছাড়া এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ও।

গত বছর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। মোট ৫২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। দু’মাস ধরে চলেছে বিচারপ্রক্রিয়া। তদন্তকারী সংস্থা দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে এই মামলায়। সেখানে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। আদালতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।

যদিও সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করেছে ধৃতের আইনজীবী। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত ঠিকভাবে হয়নি। গোটা ঘটনাটাই সাজানো। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। বুধবার শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি। এমনকি তাঁর পোশাকও অক্ষত ছিল। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্য প্রমাণ পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী।

অন্যদিকে, সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়ায় যা তথ্য প্রমাণ মিলেছে তাতে অভিযুক্ত একজনই। এমনকি বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব। ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।

যদিও নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একজনের পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়। তারা আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এদিন শিয়ালদা আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষেই হয় এই মামলার শুনানি।

অন্যদিকে আজই আরজি কর ঘটনার পাঁচ মাস পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষে পথে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছেন তাঁরা। মিছিল শেষে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে সারা রাত অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে হেঁটেছেন সাধারণ মানুষরাও।

আর জি কর কাণ্ডের ধৃত
Kota: কোটায় অব্যাহত পড়ুয়া আত্মহত্যা! ২৪ ঘন্টায় আত্মঘাতী ২ পরীক্ষার্থী, প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকায়

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in