
বুধবার কসবায় চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আজ মহামিছিল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। শিয়ালদা থেকে শুরু হয় মিছিল। ধর্মতলা পৌঁছেছে মিছিল। ব্যারিকেড দিয়ে গোটা রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন আর জি কর আন্দোলনের প্রথম সারির চিকিৎসকেরা। রয়েছেন অন্য পেশার মানুষেরাও। মিছিলে পা মিলিয়েছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র।
বুধবার কসবায় ডিআই অফিসের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মহামিছিলের ডাক দিয়েছে চাকরিহারাদের একাংশ। কালো ব্যাজ এবং ব্যান্ড পরে মিছিলে শামিল হয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, কসবার ঘটনায় যুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, এসএসসি-কে মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
মিছিলে যোগ দিয়েছেন আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ দেবাশিস হালদার। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংহতি জানাতে এসেছি। যাঁরা যোগ্য অথচ বঞ্চিত, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জন্যই আজ তাঁদের এই অবস্থা। শিক্ষকেরা জাতির মেরুদণ্ড। অথচ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করা হল, রাস্তায় ফেলে তাঁদের লাথি মারা হল। কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? এই লজ্জা রাখার কোনও জায়গা নেই”।
মিছিলে যোগ দিয়েছেন আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ আশফাকুল্লা নাইয়া। শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকসমাজকে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা চলছে”।
শিক্ষকদের মিছিলে এসেছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের অপদার্থতার জন্য চাকরি গেল। এ তো শুধু ওঁদের ক্ষতি নয়, এ হল সার্বিক ক্ষতি। এর ফলে সার্বিক ভাবে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হবে। এমনিতেই রাজ্যে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত খুব কম”।
অন্যদিকে, কসবাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মাকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে পুলিশ। রিপোর্ট দেবেন ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন