
এপ্রিলেই হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ গোটা রাজ্যেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেই জানানো হয়েছে। শনি ও রবিবারও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে। পশ্চিমের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। শুক্রবারও দক্ষিণের সব জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার ও রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সর্তকতা থাকবে।
ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে কলকাতাতেও। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আজ বিকাল বা রাতের দিকে কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি বাড়বে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি ও রবিবারও কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপরের পাঁচ জেলায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। যার ফলে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খুব একটা হেরফের হবে না। আজ উত্তর দিনাজপুরের দু এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। এছাড়া ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। যেটা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি কমাবে। এছাড়া আসাম এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবাত অবস্থান করছে। রাজস্থান সংলগ্ন এলাকাতেও রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে। তৃতীয় অক্ষরেখা দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য প্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত। যেটি ছত্রিশগড় ও ঝাড়খন্ডের উপর দিয়ে গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন