হাইকোর্টের নির্দেশে চতুর্থীর রাতে টানা ৫ ঘণ্টা CBI জেরার মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

People's Reporter: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর সাথে হাজিরা দেন পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার ও এক কর্মী।
হাইকোর্টের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে হাজিরা গৌতম পালের
হাইকোর্টের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে হাজিরা গৌতম পালেরগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

চতুর্থীর দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা ৫ ঘন্টা সিবিআই জেরার মুখোমুখি হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সহ আরও দুই আধিকারিক। মূলত ওএমআর শিট কারচুপি নিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর সাথে হাজিরা দেন পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার ও আর এক কর্মী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গৌতম পাল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, "আদালত আমাকে হাজিরা দিতে বলেছিল। সেই নির্দেশ আমি পালন করেছি। যা যা জানতে চেয়েছে আমি সব জানিয়েছি। আমি সমস্ত তথ্যই দিয়েছি"।

প্রসঙ্গত এর আগে বুধবারই আদালতে পেশ করা সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি গাঙ্গুলি মন্তব্য করেছিলেন, "মানিক ভট্টাচার্যের সম্পূর্ণ সজ্ঞানেই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। সিবিআই রিপোর্টে তা জলের মতো স্পষ্ট। ওএমআর শিটগুলি ডিজিটাইজড করা হয়নি। স্ক্যানিং-র নামে নামে শুধু প্রিন্টিং করা হয়েছে। সেই সময় পর্ষদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। কেন ছিলেন না তার জবাব পর্ষদকে দিতেই হবে"।

পাশাপাশি তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা যদি মনে করে পর্ষদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত তাহলে করতেই পারে। প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে। তারপরই কার্যত সময়ের আগেই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন গৌতম পাল।

এই প্রসঙ্গে শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিচারপতির নির্দেশের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দোষ প্রাক্তন করলে বর্তমানকে হেনস্থা কেন? দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি হোক কিন্তু তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়া দরকার।

হাইকোর্টের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে হাজিরা গৌতম পালের
WB: ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিচ্ছেন যুবক! প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ
হাইকোর্টের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে হাজিরা গৌতম পালের
অমর্ত্যর পক্ষ নিয়ে বরখাস্ত বিশ্বভারতীর ছাত্রের পাশে দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদরা, চিঠি রাষ্ট্রপতিকে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in