সোমবার সকালে কলকাতার যোধপুর পার্কে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বাড়ির সামনের এলাকা ছেয়ে যায় পোস্টারে। পোস্টারে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করা হয়। তাঁর ছবির ওপর লেখা হয় ‘SHAME’ মানে লজ্জা।
অভিযোগ তোলা হয়, 'বিচারপতি হয়ে নিজেই বসবাস করছেন বেআইনি সম্পত্তিতে।' সঙ্গে ওই পোস্টারে প্রশ্ন তোলা হয় - কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের আইনি রক্ষাকবচ খারিজ করেছেন তিনি (বিচারপতি মান্থা)।
এই পোস্টার দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কিন্তু, ঘটনার ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এই কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড'দের শনাক্ত করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। একটি লেক থানায় এবং অন্যটি হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। যে ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি বিচারপতি মান্থার বাড়ির দেওয়ালে এবং পাশের জায়গাগুলিতে সেই পোস্টারগুলি সাঁটাচ্ছে।
পুলিশ দাবি করেছে, উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এই দুষ্কৃতীদের ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু, ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ কেন তাদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে পারছে না, স্বাভাবিকভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই পোস্টার কাণ্ডের আসল মাস্টারমাইন্ড হলেন তৃণমূল নেতারা। তাই তাঁদের ধরতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে পুলিশ।
এছাড়া, রাজ্য পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলামের মতো প্রাক্তন আমলারা।
এই ঘটনার সঙ্গে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমূলি আইনজীবীদের বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
- IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন