বেনজির ঘটনা বিচারব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বিচারপতির বাড়ির দেওয়াল ও আশেপাশের এলাকায়। কে বা কারা এই কাজ করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।
সোমবার সকালে দেখা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নামে একাধিক পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই পোস্টারে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা, শুভেন্দু অধিকারীর সাথে অমিত শাহের ছবি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের ছবি রয়েছে।
তাতে লেখা রয়েছে, "বিচারব্যবস্থার নামে লজ্জা! রাজশেখর মান্থা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল, এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে নতুন কোনও অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারেও জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা! বিচারপতি হয়ে নিজেই বসবাস করছেন বেআইনি সম্পত্তিতে! অথচ মধ্যরাতে ইডির কাছে লাঞ্ছিতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার ন্যায্য সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি মান্থা!" পোস্টারের শেষে জানতে চাওয়া হয় বিচারের বাণী কোথায়? বিচারপতির এহেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কার স্বার্থে?
শুধুমাত্র পোস্টার বিতর্ক বাড়িতেই নয়। হাইকোর্ট চত্বরেও বিচারপতির নামে পোস্টার পড়ে। বিচারপতির এজলাসের গেট বন্ধ করে দিয়ে বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক দেন। আদালতে এলেও বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বিচারপতি ফিরে যান।
১৩ নম্বর এজলাস বয়কট নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে নিন্দাপ্রকাশ করেন। তাঁর আবেদন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তোলা হোক।
এসব শুনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, এটা উচিত নয়। সব তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুন। বারের সভাপতিকে ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা একেবারেই উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি। তাঁর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান কীভাবে এজলাস বয়কট করা যায়? বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।