'নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে' - আদালতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য পার্থর

পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুনানি চলাকালীন বলেন, 'আমি কিছু করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এসএসসি নিজের মতো কাজ করতো। আমি শুধু দফতরের মন্ত্রী ছিলাম'।
মমতা ব্যানার্জী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মমতা ব্যানার্জী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম আনলেন ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে তিনি বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পাশাপাশি নিজের জামিনের আবেদন জানাতে অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টচার্যর প্রসঙ্গও টেনে আনলেন।

সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, 'আমি কিছু করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এসএসসি নিজের মতো কাজ করতো। আমি শুধু দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। মন্ত্রীর কাজ নয় এসএসসির কাজে হস্তক্ষেপ করা। ৫টি দফতর আমার দায়িত্বে ছিল। বার বার আমার দফতর বদল করা হয়েছে। সমস্ত দফতরের সচিবরা মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেন। মুখ্যসচিব সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেন। নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্টও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল'।

এদিন জামিনের আবেদনও জানান তৃণমূলের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমার প্রভাবশালী শত্রু ছিল। তাদের আমি শাস্তি দিতে চাই। আমি কোনওভাবে এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত নই। বুদ্ধবাবু অসুস্থ, আমিও অসুস্থ। তাই আমাকে জামিন দেওয়া হোক। ১ বছরের বেশি সময় ধরে সিবিআই কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পুজো আসছে। আমার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দিন'।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জিকেও। গ্রেফতারির পর ২৮ জুলাই পার্থকে মন্ত্রীপদ থেকে অপসারণ করা হয়। দলীয় সমস্ত পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে দল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়।

মমতা ব্যানার্জী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Buddhadeb Bhattacharjee: এখন অনেকটাই সুস্থ, বুধবার ছাড়া পেতে পারেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
মমতা ব্যানার্জী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদকে ২ বছরের কারাদণ্ড, রাহুলের পথে হেঁটে সাংসদ পদ খারিজ করবেন স্পিকার?

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in