শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার হয়েছে ২১-র ভোটে! তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০১৯ সালের পরেই অর্পিতা মুখার্জির সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত গত তিন বছরে অর্পিতার মোট ৩৯টি জমি এবং ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার হয়েছে ২১-র ভোটে! তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ২১-র নির্বাচনেও খাটিয়েছে পার্থ! এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের তরফে উঠে আসছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা যেমন বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি কেনাবেচার কাজে লেগেছে সেরকমই নির্বাচনেও খেটেছে। মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর অর্পিতার সম্পত্তি বাড়ার পাশাপাশি ২১-র বিধানসভা এবং কলকাতা কর্পোরেশনের ভোটেও সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইডি সূত্রে খবর, আর্থিক তছরূপের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২১-র নির্বাচনের সময় পার্থ মারফত আসা টাকার পরিমাণ প্রায় ৭০০-৮০০ কোটি। এই প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা, এক বিধায়ক এবং নিয়োগ নজরদারি কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার হিসাব দলের অডিটে জমা পড়েনি বলেই সূত্রের খবর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্ত্রী পার্থর নামে যে বিপুল সম্পত্তি, অর্থ এবং বিনিয়োগের হদিশ মিলেছে তার সবটাই নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নয়। একাধিক সোর্স আছে এই টাকার। মন্ত্রী বলে একাধিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার শর্তে বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা নিয়েছিলেন তিনি।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরী হয়েছিল নিয়োগ নজরদারি কমিটি। সূত্রের খবর, কমিটি গঠনের পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, খাতায়-কলমে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে, শুধু ২০১৯ সালের পরেই অর্পিতা মুখার্জির সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে নজরদারি কমিটি তৈরীর পরে ২০২০-২১ সালে করোনা পরিস্থিতি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গত তিন বছরে অর্পিতার মোট ৩৯টি জমি এবং ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এক ইডি আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্ত্রীর নামে-বেনামে শহরে এমন একাধিক প্রতিষ্ঠান নজরে রয়েছে তাদের। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, বিদেশেও লগ্নি হয়েছে পার্থ-অর্পিতার। কলকাতা ও শহরতলীর লাগোয়া জেলার একাধিক সংস্থায় যেমন রিয়েল এস্টেট, স্বর্ণ বিপণি সংস্থায় টাকা ঢালা হয়েছে। সেগুলিও ইডির নজরবন্দী।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার হয়েছে ২১-র ভোটে! তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
TMC: গ্রেপ্তারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে মমতা ব্যানার্জীর নাম, অসন্তোষ বাড়ছে দলের অন্দরে

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in