Tathagata Roy: 'বঙ্গ বিজেপির সংগঠন বিপর্যস্ত! ব্যবস্থা নিন, নইলে..', শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা তথাগতর
লোকসভা নির্বাচনের আগেই টলমল করছে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক স্তম্ভ। দলের অভ্যন্তরে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আদি বনাম নব্য’র সংঘাত। আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না, এই অভিযোগও একাধিকবার তুলতে দেখা গেছে বিজেপি কর্মীদের। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক স্তম্ভ বিপদের মুখে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সতর্কবার্তা দিলেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
শনিবার সকালে টুইটারে (বর্তমানে X) পরপর দুটি পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপির ডুবন্ত সাংগঠনিক কাঠামোর দিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তথাগত। তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে ইডি/সিবিআই দড়ি টানাটানির ফলে দলের অন্ধ সমর্থকরাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তৃণমূলের সাথে সেটিং রয়েছে বিজেপির। সাংগঠনিক দিক থেকে দল একেবারে বিপর্যস্ত। এমনকি রাজ্য ও জেলা স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও কর্মী-সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। যত্ন নিন, নাহলে…”।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি সংবাদপত্রের বিশেষ একটি খবর পোস্ট করে তথাগত লিখেছেন, “রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি, এমনকি শুভেন্দুর নিজের জেলাতেও ব্যর্থ বিজেপি। আমি আবারও বলছি, সাংগঠনিকভাবে দল বিপন্ন। যত্ন নিন, নাহলে…”।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদি বনাম নব্য’র সংঘাতের জেরে বিজেপি ছাড়তে চেয়েছেন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে প্রলয় লিখেছেন, “ভালো থেকো রাজনীতি। আর নয়, দাও বিদায়।” তার পোস্ট ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। শনিবার তিনি বিজেপির জেলা সভাপতি তাপসী মণ্ডলের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন প্রলয়।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিকিটের আশায় একগুচ্ছ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে গিয়ে ভিড়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী টিকিট নিয়ে কারোর ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে, কেউ কেউ আবার পেয়েছেন শুধুই লবডঙ্কা। কিন্তু এই সব কিছুর জেরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে দলে। এমনকি একাধিক আদি নেতা দলের সঙ্গে দূরত্বও বাড়িয়ে নেন। সেই সময় থেকেই বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। এবারে লোকসভা ভোটের আগে আবারও উঠছে সেই একই প্রশ্ন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।