কয়েকজনের কথায় পুরো নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে! প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টে দাবি পর্ষদের

People's Reporter: এদিন আদালতে পর্ষদ জানায়, টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টফাইল ছবি
Published on

কয়েকজনের বক্তব্যের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতে পর্ষদের দাবি, নিয়ম মেনেই ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এদিন প্রথম সওয়াল করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। রাজ্যের সওয়াল, মামলার শুরুতে কারও চাকরি বাতিলের আবেদন করা হয়নি। মামলাকারীদের আবেদন ছিল, "প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমাদেরও সুযোগ দেওয়া হোক"।

এরপরেই বিচারপতি চক্রবর্তীর প্রশ্ন, কী কি নির্ভরযোগ্য পদক্ষেপ মেনে নিয়োগ পরিচালনা করেছে পর্ষদ। জবাবে পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ লক্ষ ২০ হাজার প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। শূন্যপদ ছিল ৪২,৯০০।

আদালতে পর্ষদের যুক্তি, কারও নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যায় না।

এদিন আদালতে পর্ষদ জানায়, টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। সরকারি আধিকারিকদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে। টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। সেই ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২,৯৪৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। তবে সেই নিয়োগে একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের ১৬ মে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ও চাকরিহারারা।

এরপর তৎকালীন বিচারপতি গাঙ্গুলির সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় শীর্ষ আদালত। এরপর গত ৭ এপ্রিল আচমকাই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমেন রায়। মঙ্গলবার দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে এই মামলার শুনানি হয়।

রাজ্য এবং পর্ষদের সওয়াল শোনার পর হাই কোর্ট জানায়, গ্রীষ্মের ছুটির পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

কলকাতা হাইকোর্ট
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে নতুন ওবিসি প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের! ২০১০-এর পরবর্তী শংসাপত্রে সুযোগ নয়

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in