কোনও DA বাকি নেই - পুজো অনুদান মামলায় হাইকোর্টে হলফনামা পেশ রাজ্যের, মামলাকারীর জরিমানার আর্জি

রাজ্যের দাবি, ডিএ এবং পুজোর অনুদান সম্পূর্ণ আলাদা দু'টি বিষয়। এছাড়া রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না।
কোনও DA বাকি নেই বলে হাইকোর্টে জানালো রাজ্য
কোনও DA বাকি নেই বলে হাইকোর্টে জানালো রাজ্যগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ্যভাতা বকেয়া নেই। পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার মামলা প্রসঙ্গে আদালতে স্পষ্ট জানালো রাজ্য। এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে তা খারিজের আবেদন জানিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে মামলাকারীর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করার আরজিও জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি, সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এই ঘোষণার পরই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাকারীদের দাবি, যেখানে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বকেয়া রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে এই অনুদান দেওয়া সমীচীন নয়।

তবে মঙ্গলবার আদালতের শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাই নেই। রাজ্যের দাবি, ডিএ এবং পুজোর অনুদান সম্পূর্ণ আলাদা দু'টি বিষয়। এছাড়া রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না।

অনুদান নিয়ে রাজ্যের তরফে আদালতে যে যুক্তিগুলি দেওয়া হয়েছে,

১) রাজ্যের কাছে কোন মহার্ঘ ভাতা (DA) বকেয়া নেই। সেই জন্যই আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। তাই আদালতের নির্দেশের পরে রাজ্য তার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয়।

২) কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পুজোর অনুদান দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দু’টিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না।

৩) রাজ্য সরকার পুজা কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না।

৪) মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। অবিলম্বে বিপুল আর্থিক জরিমানা করে মামলা খারিজ করা উচিৎ।

৫) এই মামলা করার কোন গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।

৬) পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই ‘পুলিশ’ অনুশীর্ষে (Sub Head) অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

৭) সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই।

৮) ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের সাথে দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।

৯) সংবিধানের ৫১(ক) ধারা অনুযায়ী, হেরিটেজ রক্ষা করার দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে।

১০) দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না।

কোনও DA বাকি নেই বলে হাইকোর্টে জানালো রাজ্য
'রাজপথ' এবার 'কর্তব্যপথ' - এবার দিল্লির বুকে নামবদলের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in