DA দেওয়ার টাকা নেই, অথচ পুজো কমিটিকে অনুদান কীভাবে? রাজ্যের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট

আদালতের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যকে। ওই দিনই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
পুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্যের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট
পুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্যের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্টগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে কেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে তার ব্যাখ্যা জানতে চাইল হাইকোর্ট। কারণ জানানোর জন্য রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আদালতের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যকে। ওই দিনই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন ওঠে, সরকার যেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ্যভাতা দিতে পারছে না সেখানে ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছে কীভাবে?

আদালতের সওয়ালে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, অনুদানের বিষয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্য সরকার। পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বৈঠক ডেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে টাকা দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

প্রথম জনস্বার্থ মামলাটি গত বুধবার দায়ের করেছিলেন আইনজীবী পারমিতা দে। বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজ ও প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দেয় তাঁকে। এর কয়েক ঘণ্টা পর একই দিনে সুবীরকুমার ঘোষ নামে আরেক ব্যক্তিও আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেন সৌরভ দত্ত নামের একজন, বৃহস্পতিবার। তাঁর হয়ে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। বৈঠক থেকেই রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান হিসেবে এই বছর ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। গত বছর এই অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়াও, বিদ্যুৎ বিলে যেখানে গত বছর ছাড় ছিল ৫০ শতাংশ, সিইএসসি ও ডব্লিউবিসিডিসিএল-কে এ বছর তা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।

পুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্যের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট
শেষ ৫ বছরে দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে রাজ্যের অনুদান প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in