সপুত্র মুকুল রায় ফের তৃণমূলে? আজ দুপুরেই মমতা সাক্ষাৎ

রাজ্য রাজনীতি আপাতত চূড়ান্ত নাটকীয়তার সম্মুখীন হতে চলেছে। মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় আবার তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার সপুত্র মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হবেন বলেই সূত্রের খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আবারও দলবদল। রাজ্য রাজনীতি আপাতত চূড়ান্ত নাটকীয়তার সম্মুখীন হতে চলেছে। মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় আবার তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে খবর। শুক্রবার সপুত্র মুকুল রায় কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হবেন বলেই সূত্রের খবর। সেখানেও উপস্থিত থাকবেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি ও সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করবেন পুকুল রায় ও তাঁর পুত্র।

মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে। যখন মুকুল পত্নী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন তাঁকে দেখতে সবার প্রথমে হাজির হন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর কয়েক ঘন্টা পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে হাসপাতালে হাজির হন দিলীপ ঘোষ।

কিছুদিন আগে মুকুল মুত্র শুভ্রানশুও বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন। তাঁর ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলকে সমালোচনার বদলে “আত্মসমালোচনা”-র বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে করেছিলেন। সেই সঙ্গে করেছিলেন মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা। তৃণমূলের প্রবীন নেতা সৌগত রায় বরাবর মুকুল রায়ের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। মুকুল পুত্রকে যে তিনি স্নেহ করেন সে বিষয়ও সংবাদমাধ্যমের কাছে গোপন করেননি।

প্রসঙ্গত, ১৯- এর নির্বাচনে যেমন মুকুল রায়ের কাঁধে বিজেপি সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিল, তা ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে হয়নি। কার্যত একঘরে করা হয়েছিল মুকুল রায়কে। একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছিল ভোটে দাঁড়াতে। তাই নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মুকুলের বিশেষ ভূমিকা দেখা যায়নি। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির অভ্যন্তরে মুকুলের গুরুত্ব ক্রমেই কমতে থাকে।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মুকুল রায়ের ছেলের অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে ফের তিনি তৃণমূলের কাছাকাছি আসতে চলেছেন বলে অনুমান করেছিলো রাজনৈতিক মহল। যদিও সেই সময় একে নিতান্তই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। এমনকি মুকুল রায়ও এই সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছিলেন।

গত ২০১৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় মুকুল রায়কে। এরপরই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের দু নম্বর ব্যক্তি মুকুল রায় বর্তমানে রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও বিধায়ক।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in