
নবান্ন অভিযানের মিছিলে আহত আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার মা। অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর কপাল ফুলেছে। লাঠির আঘাতে ভেঙে গেছে হাতের শাঁখাও।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার একবছর আজ। এখনও বিচার মেলেনি। তার প্রতিবাদে শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই ডাকে সাড়া দেয় বিজেপি।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ পার্কস্ট্রিট হয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল মিছিল। কিন্তু পার্কস্ট্রিট মোড়েই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। যার পরেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময়ই এক মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন নির্যাতিতার বাবা-মা বলে অভিযোগ। কপালে চোট লাগায় ফুলে গিয়েছে। ভেঙেছে হাতের শাঁখা।
পার্কস্ট্রিট মোড়ে ধস্তাধস্তির ঘটনার পর নির্ধারিত পথ ধরেই হাঁটা দেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের সঙ্গে তিরিশ জন মতো লোক রয়েছেন। আছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ কৌস্তুভ বাগচী এবং প্রীতম দত্ত। তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র্যাম্পের দিকে এগোচ্ছেন। তবে মূল মিছিল আটকে রয়েছে পার্কস্ট্রিট মোড়েই। সেখানে অবস্থান করছেন শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পালরা।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাবা-মা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোনোর সময় আবার তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। সেখানেই রয়েছে ব্যারিকেড। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, "আমরা যে গাড়ি করে আসছিলাম, তার নম্বর সব জায়গা দেওয়া হয়েছে। আমাদের গাড়ি বার বার আটকানো হয়েছে। বলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি করে এখানে পৌঁছেছি। হাই কোর্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিয়েছে। তার পরেও বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করেছে পুলিশ"।
এদিকে, শুভেন্দু ধর্মতলার মিছিলে পৌঁছেছেন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ। তার আগে বিধানসভা থেকে তিনি বলেছিলেন, "আমরা কোনও সংঘাতে জড়াব না।’’ পুলিশি তৎপরতা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘পুলিশের এত ব্যারিকেড দেওয়ার কী প্রয়োজন?’’ বিরোধী দলনেতার কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী সকলের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি"। সিবিআই তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, "হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। যদি তদন্ত নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে তবে তা আদালতে জানাতে পারেন"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন