

ফের বাংলা ও বাঙালিকে অপমান করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে সংসদের মকরদ্বারের সামনে এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। জানা গেছে, সাংসদের বুকে বাঙালি মনীষীদের ছবি সংবলিত ব্যাজ ছিল। যার উপরে বাংলা হরফে লেখা ছিল ‘জয় হিন্দ’ এবং নীচে লেখা ছিল ‘জয় বাংলা’। অভিযোগ, সেই ব্যাজ পরা নিয়েই রাজ্যসভায় আপত্তি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ছিল ২২ শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। সেই উপলক্ষ্যে এদিন তৃণমূল সাংসদরা সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, বিনয়-বাদল-দীনেশ-দের মতো সাহিত্যিক, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি সংবলিত ব্যাজ পরেছিলেন। রাজ্যসভায় এই ব্যাজ পরা নিয়ে আপত্তি জানানো হলে, বিষয়টিকে বাংলার অপমান হিসেবে দেখছে তৃণমূল।
এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন, "অধ্যক্ষের চেয়ার থেকে বলা হয় প্ল্যাকার্ড দেখানো, ব্যাজ পরা যাবে না। আমরা প্ল্যাকার্ড দেখাইনি। বাঙালি মনীষীদের ছবি দেওয়া ব্যাজ পরেছি। তাতেও আপত্তি!"
ঋতব্রত বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ দেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন। ইউরোপের বাইরে নবজাগরণ হয়েছিল বাংলায়। রামমোহন ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ। বাংলা ছিল ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের ভূমি। ওরা তাকে অপমান করছে। এই অপমানের জবাব ২০২৬ সালের ভোটে ওরা পাবে"।
ঋতব্রত আরও জানান, "ওরা রবীন্দ্রনাথকে ভয় পায়। তাই তাঁকে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে"। এদিন রাজ্যসভায় ব্যাজ নিয়ে আপত্তি জানালে সরব হয় তৃণমূল। যদিও লোকসভায় এই ব্যাজ পরা নিয়ে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন