প্রায় রোজ নামচায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলে 'ভর্তি' চলছে নেতা সহ কর্মীদের। শুক্রবার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভাবে কংগ্রেসকে হত্যা করছেন।'
একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কংগ্রেসের অঙ্গ ছিলেন। কংগ্রেসের হয়ে বহু আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু মমতার অভিযোগ, বামেদের সঙ্গে গোপন আঁতাত ছিলো কংগ্রেসের। সে কারণেই তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। সে সময় তাঁর পিছন পিছন অনেক নেতাই নাম লিখিয়েছিলেন মমতার দলে। কংগ্রেস ভেঙেই তৃণমূলের যে উৎপত্তি, এদিন নিজের মন্তব্যে সে কথা আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন অধীর।
সদ্য বিধায়ক পদে শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে অধীর বলেন, '২০১১ সালে কংগ্রেসের বিপুল সমর্থন না পেলে সেদিন আপনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে সেদিন আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পরই ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে গ্রাস করেছেন। আজও সেই ধারা অব্যাহত।'
অন্যদিকে রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই মুহূর্তে ৭১ বিধায়ক রয়েছেন তাদের। বিধানসভায় একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। তার জন্য সম্পূর্ন রূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, 'রাজ্যে কংগ্রেসকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিণাম বিজেপির বিপুল উত্থান। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত চলছে। দিদি-মোদি সমঝোতা হয়েছে। বাংলা তোমার দিল্লি আমার।' আগামী দিনে কংগ্রেস আবারও বাংলায় স্বমহিমায় ফিরবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে এদিন বিধানভবনে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগণার বহু লোক ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রায় চারশ কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।