

কয়েকজন কর্মীর অসহযোগিতা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমন মতামত সম্বলিত একটি পুরুষ কণ্ঠের অডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ওই কণ্ঠস্বর তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। পিপলস্ রিপোর্টার এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
কলকাতা পুরভোটে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর সমর্থনে আয়োজিত কর্মীসভায় ২৮ নভেম্বর রাতে এমন মন্তব্য করেছেন সুব্রত। ভাইরাল অডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের দলের কিছু সহকর্মীর অসহযোগিতায় মমতা নন্দীগ্রামের প্রতিনিধি হতে পারলেন না। কিন্তু আমরা গর্বিত যে, তিনি ভবানীপুরের মাটি থেকে জিতেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। যদিও সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
তবে নন্দীগ্রামের কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেননি মমতা। ফলপ্রকাশের দিনই তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা দু’শোর বেশি আসনে জিতেছি। একটা আসনে হারা-জেতা বড় ব্যাপার নয়। ওরা এক বার বলল, আমি জিতেছি। এখন বলছে হেরে গিয়েছি। তবে ওখানকার মানুষ যে রায় দিয়েছেন, তা মেনে নিচ্ছি। ওখানে ভোটগণনার যাতে রিভিউ করা হয়, সেই দাবি জানাব।’
ভাইরাল অডিও নিয়ে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। তবে অডিয়ো ক্লিপের কণ্ঠ যে তাঁরই তা স্বীকার করে নিয়েছেন সুব্রত বক্সী। বলেন, ‘আমি অনেক সভাতেই একথা বলি। মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছিল। আর ছিল কিছু কর্মীদের অসহযোগিতা।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন