Lok Sabha Polls 24: গণনাতে ভুয়ো এজেন্ট ঢোকানোর পরিকল্পনা শাসকের - কমিশনের দ্বারস্থ সিপিআইএম
গণনা কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশ কেন? যে ঘটনাকে ‘নিন্দনীয়’ আখ্যা দিয়ে এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার এক এক্স (পূর্বতন ট্যুইটার) বার্তায় এই প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা।
এদিনের এক্স বার্তার সঙ্গে এক তালিকাও প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিম। যে তালিকায় বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রের তালিকা সহ প্রায় ৬০ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম আছে। এই তালিকা দিয়ে মহম্মদ সেলিম প্রশ্ন তুলে বলেন – “নিন্দনীয়! রাজ্য পুলিশ কর্মীদের প্রয়োজন কি 'গণনায় হস্তক্ষেপের জন্য'?"
এদিনই গণনায় কারচুপি আটকানোর দাবি নিয়ে মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের সিপিআইএম প্রার্থীরা।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ভুয়ো শিক্ষক, ভুয়ো ডিগ্রি, ভুয়ো শংসাপত্রের মতো এবার গণনাতেও ভুয়ো এজেন্ট ঢোকাবার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের শাসকদল। এই বিষয়টি সিইও’কে জানিয়ে গণনায় কারচুপি রোখা নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়েছে।
এদিন সেলিম বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী ভোট গণনা যাতে নির্বিঘ্নে এবং ত্রুটিহীন হয় আমরা সেই ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছি। আমরা এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় দেখেছি কীভাবে এই বিডিও, এসডিও, ডিএম’দের ব্যবহার করা হয়েছিল। একজনের নামে কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে আরেকজনকে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হচ্ছে। গোটা রাজ্যেই যেমন ভুয়ো চাকরি, সার্টিফিকেট, ডিগ্রির ব্যবসা চলছে, এক্ষেত্রেও একই কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট গাইড লাইন মেনে কাউন্টিং কেন্দ্রে এজেন্ট ঢোকানো নিশ্চিত করতে হবে।
এদিন সাংবাদিক সম্মলেনে, বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, ‘‘আমরা একজিট পোলে বিশ্বাস করিনা। আমাদের লক্ষ্য চোর চিটিংবাজদের একজিট নিশ্চিত করা। ইলেক্টোরাল বন্ডের টাকায় গোদী মিডিয়া একজিট পোল দেখাচ্ছে। চারিদিকে গেল গেল রব তোলা হচ্ছে। এই ইলেকশনে আমাদের বক্তব্যই ছিল বিজেপির একজিট নিশ্চিত করা। তার জন্য আগামীকাল আরও একটা যুদ্ধ বাকি। সেটা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এবং বৈধভাবে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

