লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। যার কারণ হচ্ছে কুণাল ঘোষ। লাগাতার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াচ্ছেন তিনি। কখনও তিনি দলের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে খোঁচা দিচ্ছেন তো কখনও ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের বিরোধিতা করছেন।
বিতর্কটা শুরু হয়েছিল নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভায় অভিষেক ব্যানার্জির ছবি না রাখাকে কেন্দ্র করে। সেই সময় মুখ খুলেছিলেন কুনাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, "অভিষেক ব্যানার্জিকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের মঞ্চ কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। দলীয় সভায় অভিষেক ব্যানার্জির একটা ছবি অন্তত থাকা উচিত ছিল"। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও নতুন করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলো। সোমবার সুব্রত বক্সী বলেন, এই নির্বাচনে (লোকসভা) যদি অভিষেক ব্যানার্জি লড়াই করেন, নিশ্চিত ভাবে আমাদের ধারণা, উনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন তাহলে মমতা ব্যানার্জির মুখ সামনে রেখেই লড়বেন।
সুব্রত বক্সীর এই কথাতেই আপত্তি জানান দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে সম্মান করি। কিন্তু ওনার বাক্য গঠনে একটু সমস্যা রয়েছে। লড়াইতে তো অভিষেক ব্যানার্জি রয়েইছেন।
শুধু সুব্রত বক্সীই নয়, নাম না করে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, অনেক মন্ত্রীই আছেন যাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নরম। মমতা ব্যানার্জির সম্পর্কে যখন শুভেন্দু নিম্নমানের কথা বলছেন তখন কেন মন্ত্রীরা চুপ থাকছেন। শুধুমাত্র আমরা (মুখপাত্র) কেন শুভেন্দুকে বার বার আক্রমণ করবো?
কুনাল ঘোষ যখন একাধিক দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ব্যস্ত তখন মমতা ব্যানার্জির সাথে কয়েকঘন্টা বৈঠক করেন অভিষেক ব্যানার্জি। সোমবার কালীঘাটে মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে বৈঠক করেন অভিষেক। মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠদের মত, এই বৈঠক অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন