অবসরপ্রাপ্তদের মোটা অঙ্কের বিনিময়ে পুনর্নিয়োগ, প্রতিবাদে পথে নামল KMC-র ইঞ্জিনিয়াররা
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগের বিরুদ্ধে এবার পথে নামল কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড লাইট সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত করা হয়েছিল।
কেএমসি ইঞ্জিনিয়ারদের অভিযোগ, কলকাতা পৌরনিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পেনশন বাবদ যথেষ্ট বেশি টাকা পাবেন। কিন্তু অন্যদিকে কলকাতা পৌরনিগমে ২৯,০০০ শূন্যপদ খালি পড়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও নতুন কর্মী নিয়োগের বদলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগ করে মোটা টাকার বিনিময়ে কাজ করানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার কেএমসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় পৌরনিগমের সামনে থেকে। সেখান থেকে মিছিলটি কর্মীবর্গ বিভাগ, পেনশন সেল হয়ে জল-সরবরাহ বিভাগের ডিজির ঘরের সামনে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি পার্থ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মানস সিনহা।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানস সিনহা বলেন, "কলকাতা পৌরনিগমের এক অস্থায়ী ডিজিকে দিনের পর দিন রেখে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি চারজন ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়র তাঁদের অবসর নেওয়ার পরে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে । এছাড়াও গার্ডেনরিচ ওয়াটার ওয়ার্কস, সেখানে বেশ কয়েকজনের অবসর হয়ে যাওয়ার পরেও কোন চুক্তি ছাড়াই তাঁদের মোটা টাকা বেতনে কাজ কর্ম করানো হচ্ছে । অনেকে গাড়ির পেট্রল-সহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন ।"
সারা রাজ্যজুড়ে যে হারে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে সে ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে যখন এত বিপুলসংখ্যক শূন্যপদ, সেখানে নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়োগ না করে পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে কেন ? কার স্বার্থে চুক্তি না করেই কিছু লোককে কাজকর্ম করানো হচ্ছে? এটা দীর্ঘদিন চলতে পারে না । অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে । চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীরা স্থায়ী কর্মীদের ওপর ছড়ি ঘোরাবে তা বরদাস্ত করব না ।"
প্রসঙ্গত, এর আগে "নিজের হক কেড়ে নাও, চলছে লড়াই শামিল হও" এই স্লোগান তুলে প্রতিবাদে নেমেছিল বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়ন। পৌর সংস্থায় বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে গণছুটি নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে শামিল হয়েছিলেন তারা। ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য-র দাবি ছিল, অবিলম্বে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য স্কীম ২০০৮-এর অনুরূপ কেএমসি-তেও সেই স্কীম চালু করতে হবে। সমস্ত প্রাপ্য সহ পেনশন এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

