যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। অজস্র টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কুড়ি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিম বলেন, "যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। যথেষ্ট সময় অতিবাহিত করার পর, অজস্র টাকা দেশে বিদেশে পাচার হওয়ার পরেও, হাত দিতেই এই পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা আসলে লুঠের টাকা। তোলাবাজিসহ অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মোটা ঘুষ নেওয়া টাকা সর্বত্র জমা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টাকা বিলোবার গল্প শোনান আর দেশের প্রধানমন্ত্রী 'ক্যাশলেস ইকোনমির' বাণী ছড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সেই নগদ টাকার পাহাড়ের ছবিতে তৃণমূলের দুর্নীতির হাত ধরে ফুটে উঠছে এই রাজ্যে।"
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি এডুকেশন বোর্ড-এ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কলকাতার বহুতল আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। জানা গেছে ফ্ল্যাটটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামের একজনের, যিনি রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
অন্যদিকে এই ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দূরত্ব তৈরি করছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে জানান, "ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।