

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন আন্দোলকারীরা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আন্দোলনকারীরা ছ’দফা দাবি জানান। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।
আন্দোলকারীদের ছ’দফার দাবি –
১। মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিকে দেখাতে হবে।
২। উচ্চপদস্থ আধিকারিককে লিখিত ভাবে পদত্যাগ করতে হবে। লিখিত ভাবে ক্ষমাও চাইতে হবে তাঁদের। ভবিষ্যতে আর কখনও যাতে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক পদে তাঁদের দায়িত্ব না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারির বন্দোবস্ত করতে হবে। মহিলা এবং পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ পিকেটিং এবং পুলিশের টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য উপযুক্ত ঘরের বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে কাউকে আর সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে না হয়।
৫। আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর অত্যাচারের জন্য কলকাতা পুলিশকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬। সমাজমাধ্যমে যে মানহানি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ করতে হবে।
আন্দোলকারী পড়ুয়া এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই জরুরী বিভাগ-সহ সর্বত্র কর্মবিরতি চলবে। অন্যদিকে, বিক্ষোভের চাপে আজ সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে তিনি স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে নিজের ইস্তফা পত্রও জমা দেন। যদিও বিকেলেই সন্দীপ ঘোষকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষের জন্য নির্ধারিত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের দাবি, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপকে মেনে নেবেন না তাঁরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন