JU: মেয়াদ শেষের আগেই অপসারিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য! অশান্তির জেরেই সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের?

People's Reporter: ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ছবি - সংগৃহীত
Published on

চলতি মাসের প্রথমে ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় পড়ুয়া আহত হন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই আবহে অবসরের চারদিন আগে অপসারিত করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে। ইতিমধ্যেই রাজভবনের পক্ষ থেকে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে উপাচার্যকে। আর এই সিদ্ধান্তের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস!

২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তার চারদিন আগে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ রাজভবনের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে অপসরণের চিঠি পাঠানো হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞপ্তি জারির সময় থেকেই তা কার্যকর হবে। আচার্যের অনুমোদনে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে"। তবে এই অপসারণের কারণ হিসাবে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। রেজিস্ট্রারের কাছেও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, "২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চার দিন আগে এই চিঠি দেওয়া হল। ৩১ তারিখ পর্যন্ত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে থাকব। আমি যত দিন উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলাম, যাদবপুরের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করেছি"।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রবীন্দ্রভারতী থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যে ভাবে অচলাবস্থার দিকে এগিয়েছে, যাদবপুরও সেই পথে এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তালিকা থেকে এক জনকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যেত। রাজ্যপাল সেটা করলেন না। উল্টে অচলাবস্থা তৈরি করলেন"।

এদিকে ভাস্করবাবুর অপসারণের ফলে বর্তমানে উপাচার্যহীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফলত নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে মনে করছেন অনেকে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
JU: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে মিটিং বা সেমিনার করা যাবে না: কলকাতা হাইকোর্ট
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়োগ বেআইনি! তৃণমূলের শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in