
"আমাদের বৃহত্তর দল। সবাইকে তো আর কান মুলে শাসন করা সম্ভব নয়!" কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে (Kasba Incident) এবার দলের হয়ে সাফাইয়ে সুর শোনা গেল বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sayantika Banerjee) গলায়। তৃণমূল বিধায়কের এই যুক্তিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা। এমনকি তিনি ওই ল কলেজের অস্থায়ী কর্মীও ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। সম্প্রতি অশোক দেবের সঙ্গে মনোজিতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অশোক দেবকে 'জেঠু' সম্বোধন করছেন মনোজিত (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। এই ভিডিও সামনে আসার পর থেকে মনোজিতের সাথে অশোক দেবের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দলের হয়ে নয়া যুক্তি দিলেন আর এক তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, "তৃণমূল একটা বৃহত্তর দল। কার মনে কী আছে, সে কী করছে, সবাইকে তো আর কান মুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শাসন করা সম্ভব নয়। সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। একজন প্রাপ্তবয়স্কর মনের ভিতরে, আপনার আমার মনের ভিতরে কী চলছে, যতক্ষণ না প্রকাশ্য়ে করছি বা বলছি, সেটা তো বোঝা বা জানা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়"।
কিন্তু বিধায়কের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীরা। এনিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে যে যা কিছু করো, সবকিছু করে তোমাদের বাঁচিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলই এই সংস্কৃতিটা এখানে নিয়ে এল যে অপরাধ করলেও তোমার কিছু হবে না"।
বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যদি তৃণমূলকে দায়ী করা না যায়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ কিংবা মধ্যপ্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে কেন বিজেপিকে সরাসরি দায়ী করা হবে? বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "তৃণমূল আর এই জাতীয় আইন-শৃঙ্খলার যে অবনতি সবটাই একসঙ্গে মিলে গেছে। সেইজন্য তৃণমূলও যা, মস্তানও তাই, আইনৃশৃঙ্খলার অবনতিও তা, মহিলার উপর অত্যাচারও তা"।
অন্যদিকে কসবা কাণ্ডের আবহে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্র ইউনিয়ন রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইউনিয়ন রুম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন