

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর তদন্তের নির্দেশের জেরে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিপাকে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার, সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে রেখে, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, দুর্নীতি কাণ্ডে তৃণমূল নেতাদের খবর প্রচার বা 'মিডিয়া ট্রায়াল' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন, নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নতুন বিভাগ-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, 'জাস্টিস (বিচার) কখনও একপক্ষ হয় না। জাস্টিস সবসময় নিরপেক্ষ হয়। মানুষ যখন সব জায়গা থেকে ফেথ (বিশ্বাস) হারিয়ে ফেলে, তখন মানুষের ফেথ (বিশ্বাস) আসে জুডিশিয়ারি (বিচার ব্যবস্থা) থেকে।'
মমতার কথায়, 'ডেমোক্রেটিক কান্ট্রিতে (গণতান্ত্রিক দেশে) বিচার ব্যবস্থা এবং মিডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি একটি বিভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় (ইফ ওয়ান লস ক্রেডিবিলিটি), তখন এর প্রভাব অন্যের উপর পড়ে (দেন ওদার লস ক্রেডিবেলিটি)।'
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, 'মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন। সত্যি খবর দেখান। আমার বিরুদ্ধে খবর হলেও দেখান, কিছু মনে করব না। কিন্তু সম্মানহানি করবেন না।'
হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি-সহ অন্যান্য বিচারপতিদের উপস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনেক মামলা বকেয়া রয়েছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তি করুন। আরও বেশি করে মহিলা বিচারপতি নিয়োগ করা হোক। আমাদের রাজ্যে খুব কমই মহিলা বিচারপতি। আমরা আরও দেখতে চাই।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন