

রাজ্যপাল–মুখ্যমন্ত্রীর তিক্ততা চরম জায়গায় পৌঁছে গেল। আর সহ্য করতে না পেরে রাজ্যপালকে ট্যুইটারে ব্লক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, রাজ্যপালের ট্যুইট দেখে অস্বস্তি হয় তাঁর।
এদিন মমতা বলেন, ‘আমি আজ বাধ্য হয়েই একটা কাজ করেছি। আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। উনি (রাজ্যপাল) প্রতিদিন একটা করে ট্যুইট করেন। আর তাতে কখনও অফিসারদের, কখনও আমাকে গালাগালি দিয়ে, বিভিন্নভাবে দোষারোপ করে, অপমান করে, অসাংবিধানিক ও অনৈতিক কথাবার্তা বলে, আমাদের নির্দেশ দিতেন ওনার পরামর্শমতো আমাদের চলতে হবে। পরামর্শ নয়, আসলে ওনার নির্দেশ মতো চলতে হবে।'
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'তার মানে কি আমরা চাকর-বাকর? আমরা ক্রীতদাস? নির্বাচিত সরকার হয়েও আমরা ক্রীতদাস। আর একটা পুরসভা নির্বাচন না জিতেও সবার ওপরে সুপার পাহারাদার হয়ে গিয়েছে। আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আজ ওনাকে ব্লক করে দিতে আমি বাধ্য হয়েছি।'
মমতার অভিযোগ, ‘ওনার ট্যুইটগুলো দেখে প্রতিদিন আমার অস্বস্তি হত। যে কথাগুলো বলা উচিত নয়, এমন এমন কথা বলতেন। এজন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমার কিছু করার নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চার বার চিঠি লিখেছি, বারবার বলেছি। কিন্তু উনি শোনেননি। প্রতিদিন অফিসারদের ডেকে পাঠাতেন। উনি এটা পারেন না। উনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারেন। ডিরেক্ট যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছে সবাইকে।'
মুখ্যমন্ত্রীর জানান, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের, লোকায়ুক্তের চেয়ারম্যান, তথ্য জানার অধিকার কমিটির সদস্যদের ফাইলে সই করেননি। হাওড়া ও বালির মানুষ ওনার জন্যই আজ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। উনি ঠিক করবেন, কোনটা কার সঙ্গে থাকবে না থাকবে? এটা তো রাজনৈতিক দলকে কাজ। সরকারের কাজ। উনি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন