'কথা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' - মুখ্যমন্ত্রীকে গণস্বাক্ষর করা চিঠি দিলেন শান্তনু ঠাকুর

২০০৯ সালে UPA সরকারে দ্বিতীয়বারের জন্য রেলমন্ত্রী হওয়ার পর রেল বাজেটে বনগাঁ থেকে বাগদা পর্যন্ত নতুন রেলপথের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু ঠাকুর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু ঠাকুরফাইল ছবি
Published on

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিজেপির সাথে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁ-বাগদা প্রস্তাবিত রেললাইন দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে গণ-স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি।

২০০৯ সালে UPA সরকারে দ্বিতীয়বারের জন্য রেলমন্ত্রী হওয়ার পর রেল বাজেটে বনগাঁ থেকে বাগদা পর্যন্ত নতুন রেলপথের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কথায়, রাজ‍্য জমি অধিগ্রহণ না করায় কাজ শুরু হচ্ছে না।

শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজ‍্যে তিনি ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন। এখন তিনবারের সরকার চলছে তাঁর। কথা রাখেননি তিনি। ২ মাস আগে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম আমি। তাঁর কোনো উত্তর আসেনি এখনও। তাই এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দিয়েছি।'

এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতাবালা ঠাকুর পাল্টা কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি বলেন, 'কেন্দ্র এই বিষয়ে এতোদিন কোনো উৎসাহ দেখায়নি। তাই কাজ শুরু হয়নি। জমি কোনো ফ‍্যাক্টর নয়।'

তবে এক্ষেত্রেও শান্তনু ঠাকুরের সাথে বিজেপির দূরত্বের বিষয়টি প্রকাশ‍্যে এসে গেছে। শান্তনু ঠাকুরের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হতেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, কিছুদিন আগেই এনিয়ে রেলের সাথে এনিয়ে কথা হয়েছে তাঁর। এখন শান্তনু ঠাকুর কেন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন বুঝতে পারছেন না তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু ঠাকুর
বিজেপির সম্পত্তি ৪৮৪৭.৭৮ কোটি টাকা, যা সাতটি জাতীয় দলের মোট সম্পত্তির প্রায় ৭০ শতাংশ - ADR

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in