পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোট দিতে পারেননি জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিউটাউনের বাসিন্দারা। তারপরেও গণনার দিন দেখা গেল ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে ওই বুথগুলিতে। এই ঘটনায় রাজারহাট ব্লকের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
নির্বাচনের দিন বিরোধীদের ভোটদানের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যজুড়ে। একই অভিযোগ করেছিলেন 'স্মার্ট সিটি' নিউটাউনের বাসিন্দারাও। এই নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। মামলাকারীর অভিযোগ, বাসিন্দারা একাধিক কারণে ভোট বয়কট করেছিলেন, অনেকে ভোট দিতে পারেননি, তাও ৯৫ শতাংশ ভোট পড়লো কীভাবে? আবার সবকটি বুথে শাসকদল তৃণমূল প্রার্থীরাই জয়লাভ করেছেন।
বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, রাজারহাটের বিডিওকে এফিডেভিট করে ঘটনার দিনের বিবরণ জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ অগাস্ট।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ভোর ৫টা থেকেই নিউটাউনের তিনটি ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যার মধ্যে একটি কেন্দ্র হলো নিউটাউনের এপিজে আব্দুল কালাম কলেজ। এই কলেজে ঢোকার তিনটি রাস্তা রয়েছে, সবক'টি দখল করে নেয় বহিরাগতরা। স্থানীয় ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেড ব্যবহার করে বাধা দেয় দুষ্কৃতিরা। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ক্যামেরা কেড়ে সেই ভিডিও ডিলিট করা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধা পেয়ে নির্বাচনের পরের দিন কালো পোশাক, কালো আর্ম ব্যান্ড পরে রাস্তায় প্রতিবাদ দেখান নিউটাউনবাসীদের একাংশ।
তাঁদের আরও অভিযোগ, যাঁরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করেছিলেন। স্থানীয় ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিয়ে তৃণমূলকে ছাপ্পা মেরে ভোটে জিততে সাহায্য করেছিলেন তাঁরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।