

এবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারকে এক কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করার দাবি জানালেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান তিনি। বিচারপতি শ্রীবাস্তব বলেন, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।
জন্মদিনের পার্টিতে বাড়িতে ডেকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে কোনরকম ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলে তৃণমূল নেতার ছেলে। এই ঘটনার পর সারা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক দানা বাঁধে। নির্যাতিতার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয় যে, মুখ খুললেই প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনসহ বেশ কয়েকটি ধারায় পকসো আইনে মামলা করা হয়।
গোটা রাজ্য জুড়ে একের পর এক খুন, ধর্ষণের কারণে কার্যত প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। কলকাতা থেকে শুরু করে এ রাজ্যের মধ্যে থাকা প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার নির্বাক কেন, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। সাধারণত, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ, ময়নাতদন্ত বা মেডিক্যাল রিপোর্ট ৷ ঘটনাচক্রেই এই ধর্ষণকাণ্ডে কোনও কিছুই নেই তদন্তকারীদের হাতে।
গত ১০ এপ্রিল হাঁসখালি থানায় অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। যদিও প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল থানা। ইতিমধ্যে, তৃণমূল নেতা সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালাকে গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জন গ্রেফতার হল। যতদিন গড়াচ্ছে , সিবিআই-র হাতে নতুন নতুন তথ্য আসছে। উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। পুরো ঘটনায় ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন