কাজ করেছি, বেতন কেন ফেরত দেব? বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ ডি কর্মীদের

গ্রুপ ডি কর্মীদের দাবি, পাঁচ বছর আমরা বেতন নিয়েছি ঠিকই। কিন্তু তার পরিবর্তে শ্রম দিয়েছি। সমস্ত বেতন ফেরত দিলে আমাদের শ্রমটা বৃথা যাবে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টছবি - সংগৃহীত
Published on

এবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরিচ্যুত গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, শ্রমের বিনিময়ে বেতন গ্রহণ করেছি। তাহলে কেন সেই বেতন ফেরত দিতে হবে?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জন কর্মী। পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দেন চাকরি হারানো সকলকে পুরো বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা।

তাঁদের দাবি, "পাঁচ বছর আমরা বেতন নিয়েছি ঠিকই। কিন্তু তার পরিবর্তে শ্রম দিয়েছি। সমস্ত বেতন ফেরত দিলে আমাদের শ্রমটা বৃথা যাবে।" বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশ মেনে গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের নাম, রোল নাম্বার, নিয়োগের মেমো নাম্বার সহ সুপারিশপত্র বাতিলের অর্ডার প্রকাশ করে এসএসসি। এই ১৯১১ জনকে আদালতের কাছে ধাপে ধাপে নিজেদের বেতনও ফেরত দিতে হবে।

শুধু তাই নয় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী সংস্থা সিবিআই।

গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসির আইনজীবী স্বীকার করেছেন, OMR সিটে কারচুপি করে অনেকে নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই তদন্তে জানা গেছে এই সংখ্যা ২৮২০।

এরপর শুক্রবার ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের দাবি, ২৮২০ জনের মধ্যে ১৯১১ জন নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন। তাই এঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে চাকরি বাঁচানোর জন্য ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। এবার বেতন ফেরত দিতে না চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।

কলকাতা হাইকোর্ট
Recruitment Scam: মানিক ভট্টাচার্য-র ছেলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করলো ইডি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in